Oru Adaar Love



Oru Adaar Love

দেশ: ভারত।
ভাষা: মালায়ালাম।
অভিনয়: Noorin Shereef, Roshan Abdul Rahoof, Priya Prakash Varrier
গল্প এবং পরিচালনা:  Omar Lulu.
রিলিজ:  ১৪.০২.২০১৯

ভালোবাসা একেকজনের জীবনে একেক সময়ে আসে৷ ভালোবাসা আসার কোন নির্দিষ্ট বয়স নেই। তবে একটা মানুষের জীবনে প্রথম বসন্ত যেন সেই স্কুল কিংবা কলেজ লাইফেই আসে। তাছাড়া স্কুল কিংবা কলেজ লাইফটাই একটা মানুষের জীবনে খুব গুরত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে। রোজ স্কুল-কলেজে যাওয়া, বন্ধুদের সাথে খুনসুটি, স্যার-ম্যামদের সাথে মজা করা, কাউকে দেখে পছন্দ করে ফেলা এরকম হুলুস্থুল কারবার গুলো সব এই স্কুল-কলেজ লাইফেই বেশী হয়ে থাকে। এমন একটা গল্পের ছবি Oru Adaar Love.

এই ছবিটাকে একটা মিউজিক্যাল পার্ট বললেও ভুল হবেনা। গানে গানেই সব ইমোশন গুলোকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।

ছবির সিনেমাটোগ্রাফী দারুন, অভিনয় দারুন, কাস্ট দারুন, স্ক্রিপ্ট টা আরেকটু সবল করা যেতো। তবে গল্পের থিম দারুন। আর তাছাড়া একটা মালায়ালাম ছবি কেমন হয় সেটা নিশ্চয়ই কাউকে বলে দিতে হবে না।


The Revenant



The Revenant মরণে অকুতোভয় সৈনিক

শারীরিক দিক দিয়ে বিধাতা মানুষকে তুলনামূলক দুর্বল করে সৃষ্টি করেছেন। আত্মরক্ষার জন্য মানুষের নেই কোনো তীক্ষ্ণ নখ, নেই ধারালো দাঁত বা বিষাক্ত ছোবল। বন্য নানা পশুর সামনে মানুষ স্পষ্টতই অসহায়। 
কিন্তু এত কমতির মাঝেও মানুষের আছে বেঁচে থাকার সুতীব্র ইচ্ছা। সব হারিয়েও সে খড়কুটোকে সম্বল করেই বাঁচার স্বপ্ন দেখতে পারে। 

আর, মানুষের এই প্রবল জীবনতৃষ্ণাই সব ধরনের প্রতিকূল পরিবেশ মোকাবেলা করে তার বেচে থাকার মূল অস্ত্র। আপাত দৃষ্টিতে যা অসম্ভব লাগে, বিপদের মুখে বাচার নেশায় সেই কাজটিই মানুষ করে ফেলতে উন্মুখ হয় অনায়াসে।  

চারপাশের সামান্য যা কিছু পায় তা কাজে লাগিয়েই সে সামাল দেয় যে কোনো বাধাবিপত্তি, বুকের ভেতর ধিকিধিকি করে জ্বলে থাকা জ্বীবনপ্রদীপই আলো দেখায় যে কোনো অন্ধকারে, উষ্ণ রাখে শীতল দেহকে। 

আর এর সাথে যদি যোগ হয়ে প্রতিশোধের নেশা তাহলে সেই প্রদীপ রুপান্তরিত হয় জ্বলন্ত আগ্নেয়গীরিতে। উত্তপ্ত লাভার আগুনে পুড়ে পুড়ে রক্তমাংসের মানুষ হয়ে ওঠে লৌহমানব, চোখে ফুটে ওঠে রক্তের নাচন। 

এমন পরিস্থি্তিতে ক্ষুধা-তৃষ্ণা-ক্ষত বা প্রতিকূল পরিবেশ কোনোকিছুই তার লক্ষ্য থেকে তাকে টলাতে পারে না। 
জীবনতৃষ্ণা আর প্রতিশোধ-নেশা মিলেমিশে এক হলে একজন মানুষের মনবল কেমন হতে পারে তারই উপাখ্যান হল The Revenant 

Movie : The Revenant (2015) 
Genre : Drama, Adventure 

মুভির মুলগল্প মিশেল পুনক এর একই নামে প্রকাশিত উপন্যাস থেকে নেয়া হয়েছে। অষ্টাদশ শতাব্দিতে একদল আমেরিকান হান্টার আর ট্র্যাপার ডাকোটা অঞ্চলে এসে রেড ইন্ডিয়ান উপজাতিদের সাথে সংঘর্ষে পড়ে যায়। তাদের পথপ্রদর্শক হিসেবে আছে ফ্রন্টিয়ারম্যান হিউ গ্লাস। 
দলের অনেকেই গ্লাসের সাথে নানা বিষয়ে একমত হতে না পারলেও এই বরফাস্তীর্ণ দুর্গম এলাকার পথ একমাত্র গ্লাসই ভাল জানে বলে তার কথা সবাই মেনে নিতে বাধ্য। কিন্তু হঠাত করেই একদিন এক ভয়ালদর্শন ভালুকের কবলে পড়ে সে। 
বিরবিক্রমে লড়াই করে ভালুককে পরাজিত করতে পারলেও ভয়ানকভাবে আহত হন গ্লাস। এই দুর্গম অঞ্চলে তাকে বহন করে পথ চলতে ব্যার্থ হয়ে তাকে ফেলেই চলে যায় তার দল। শুধু সাথে থাকে তার ছেলে আর দলের দুইজন সদস্য। কিন্তু তারাও গ্লাসের সাথে প্রতারণা করে তার ছেলেকে মেরে তাকে ফেলেই চলে যায়। 
শুরু হয় গ্লাসের বেচে থাকার অবর্ননীয় প্রচেষ্টা, সাথে যোগ হয় ছেলের হত্যার প্রতিশোধ নেশা। সে কি পারবে মৃত্যুর দুয়ার থেকে নিজেকে ফিরিয়ে আনতে পারবে? 

মুভিটির পরিচালক গতবারের অস্কারজয়ী ইনারিতু কারিগরী দিক দিয়ে কোনভাবেই কমতি রাখেন নি। তার লং লং শট আর সিঙ্গেল প্যানিং ক্যামেরার কাজ দেখে চোখে বড় শান্তি লেগেছে। শুভ্র তুষারে চাপা প্রকৃতি আর তার মাঝে বনাঞ্চল প্রেক্ষাপট নিখুঁতভাবে ক্যামেরায় তুলেছেন। 
আর ভালুকের সাথে ডি ক্যাপ্রিওর লড়াইয়ের দৃশ্যটা তো এবছরের অন্যতম দৃশ্য, মনমাতানো গ্রাফিক্সের কারনে শটগুলো যেন জীবন্ত হয়ে উঠেছে। মুভি দেখেন আর নাই দেখেন, এই দৃশ্য দেখতে ভুলবেন না কিন্তু  

মুভির মূল দুটি চরিত্রে আছেন লিওনার্দো ডি ক্যাপ্রিও এবং টম হার্ডি, সুতরাং অভিনয় নিয়ে কিছু বলার নাই। টম হার্ডি তার নেগেটিভ রোলে যথেষ্ট সিরিয়াস ছিলেন, আপাতত তার জায়গায় অন্য কোনো মুখই কল্পনায় আনতে পারছি না।  
ক্যাপ্রির জায়গায় প্রথমে ক্রিশ্চিয়ান বেলকে নেয়ার কথা ছিল, দুজনই আমার পছন্দের অভিনেতা। 
ক্যাপ্রিও তার অভিনয় প্রতিভাকে অন্য এক মাত্রায় নিয়ে গেছেন এই মুভিতে। মুমুর্ষূ রোগীর চরিত্রই বলুন আর সন্তানহারা প্রতিশোধোন্মুখ পিতার চরিত্রই বলুন সবই নিখুতভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন তিনি। কাঁচা মাছ চিবিয়েছেন, পশুর কাচা মাংশ খেয়েছেন, জমাট বরফে ডুবেছেন, শুয়েছেন মৃত ঘোড়ার পাঁজরে। 
তার অভিনয় প্রতিভা নিয়ে কারো কোনো সন্দেহ না থাকলেও অনেকেই টিপ্পনি কাটে তার অস্কার-খরা নিয়ে। এবার বোধহয় নিন্দুকের মুখে ছাই পড়তে চলেছে।  একদিকে এমন অতুলনীয় অভিনয় আবার অন্যদিকে তেমন শক্ত কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী না থাকা, এযেনো সোনায় সোহাগা।  
তবে দ্যা ডেনিশ গার্ল এডি রেডমেইনে জোর প্রতিপক্ষ হিসেবে লড়াইয়ে আছেন। 
এতদসত্ত্বেও, আমার কাছে এটা ক্যাপ্রিওর সেরা অভিনয় লাগে নি। ক্যাপ্রিও মুভির জন্যে অনেক পরিশ্রম করেছেন বটে তবে পূর্বে সে এর থেকেও ভাল অভিনয় করেছে। যাই হোক, দেরীতে হলেও তার হাতে অস্কার উঠুক, আশা করি। 

মুভিতে সারভাইভাল এডভেঞ্চারের সাথে সাথে আরো কিছু অনুগল্প ফুটে উঠেছে মুভিতে। আছে পিতা-পুত্রের ভালবাসার গল্প, স্বামী স্ত্রীর প্রেম কাহিনী। পিতা আহত হলে তাকে সারিয়ে তোলার জন্য পুত্রের সর্বাত্মক চেষ্টা, স্বামীর শয়নে স্বপনে মৃতা স্ত্রীর সাক্ষাত সবই যেন পরোক্ষভাবে ভালবাসার নিদর্শন। 

মুভিতে তেমন কোনো ডায়ালগ নেই। কাহিনী দাড় করানো হয়েছে বেশ কিছু সাবপ্লটে, ওয়েস্টার্ন আকারে রিভেঞ্জ প্লটের সাথে সারভাইভাল প্লটের মিশেল দেয়া হয়েছে। নেই তেমন একশন দৃশ্য। অভিনয় যা হওয়ার সবই হয়েছে এক্সপ্রেশন দিয়ে। 
তবে, মুভির মূল আকর্ষণ এর কারিগরী দিক, মনোমুগ্ধকর সব লোকেশন, ক্যামেরার ধূর্ত কারসাজি সবই আপনাকে আটকে রাখবে মুভির দিকে। 
 


EXIT Movie



Movie: Exit
2019 ‧ Disaster/Action
Imbd Rating: 7

বর্তমানে দক্ষিণ কোরিয়ার ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি সত্যিই জ্বলজ্বল করছে, তার প্রমাণ হ'ল প্যরাসাইট ঘরে নিয়ে এলো অস্কার।
প্যারাসাইট, ট্রেন টু বুশান এবং অন্যান্য চলচ্চিত্রের পাশাপাশি যে ফিল্মগুলি উদ্ধার মিশনে মনোনিবেশ করে সেগুলি কোরিয়ান সেরা চলচ্চিত্রের অন্যতম হয়ে ওঠে
এক্সিট এমন ই একটা মুভি।

ইয়ং নাম যিনি সিনেমার হিরো তিনি এমন একজন বেকার যুবক যিনি রক ক্লাইম্বিং পছন্দ করেন।
একবার, ইওং নেমের বর্ধিত পরিবার একটি বড় হোটেলে ইওং নেমের মায়ের জন্মদিন উদযাপন করেন।

অপ্রত্যাশিতভাবে সেখানে ইউইউ জুয়ের সাথে দেখা হয়ে যায়( সিনেমার নায়কা) তাদের মধ্য কলেজ লাইফে পরিচয় ছিলো। ইয়ং নাম তাকে ভালোবাসতেন। তাদের ফ্লাস ব্যাক এ দারুন একটা ঘটনা আছে।

ইউই জু হলেন হোটেলটিতে সহকারী ব্যবস্থাপক।

তাদের অনুষ্ঠান চলাকালিন
এক ব্যক্তিকে দুটি গ্যাস সিলিন্ডার সহ একটি বড় ট্রাক চালাচ্ছিলেন এবং একটি কারখানার সামনে থামলেন।
এবং তিনি দুটি বৃহত ট্যাংককে খুলে মারাত্মক গ্যাস উড়িয়ে দিলেন। এবং মারাত্মক গ্যাস পুরো শহরে ধিরে ধিরে ছড়ায়ে যাইতে লাগলো।
নিচ থেকে বিল্ডিং এর উপর এর দিকে এই মারাত্মক গ্যাস ছড়ায়ে পরতে লাগলো। হোটেলে থাকা তার পরিবার বিষয়টা জানতে পারে এবং তারা হোটেলটি ছেড়ে পালাতে লাগেন।
কিন্তু ইতিমধ্যে ধোঁয়া তাদের চারপাশে ঘিরে রেখেছে।

মুভিতে শেষের দিকে ড্রোন ক্যামেরা ব্যবহার করা হয়েছে, সেই দৃশ্য টা অনেক ভালো ছিলো।
সিনেমাটি পরিবার নিয়ে উপভোগ করার মত অসাধারণ একটা মুভি।
পরিবারের সদস্য এর মধ্য ভালোবাসা ফুটে উঠছে সিনেমাটিতে।

সিনেমাতে কোন সুপার নেচারাল পাওয়ার দেখানো হয়নি। বাস্তবিইক ই দেখানো হয়েছে।
এই চলচ্চিত্রটির কেন্দ্রবিন্দু আত্মরক্ষার কাজটিতে দেখানো হয়েছে, তবে আমরা এমন কোনও শত্রু খুঁজে পাব না যা এই ছবিতে নায়কদের বিরক্ত করবে।
 

 


Ace Ventura: Pet Detective - হাসি ও রহস্যের এক অপূর্ব মিশ্রণ



Ace Ventura: Pet Detective - হাসি ও রহস্যের এক অপূর্ব মিশ্রণ 

 

হাসির মুভি অনেকেই দেখেছেন। তবুও কেন এই মুভিটি দেখবেন? হ্যাঁ, বিশেষত্ব কিছু তো অবশ্যই আছে। একই সাথে হাসি ও রহস্যের অদ্ভুত মিশ্রণ আপনাকে মুগ্ধ করে রাখবে পুরোটা সময় জুড়ে। সেই সাথে থাকছে আবার এ্যাকশন।

মরগান ক্রিক প্রোডাকশনসটি ১৫ মিলিয়ন ডলার বাজেটে ছবিটি নির্মাণ করেছিল এবং ওয়ার্নার ব্রস ১৯৯৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে ছবিটি প্রকাশ করেছিলেন। এটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৭২.২ মিলিয়ন, কানাডায় ৩৫ মিলিয়ন ও বিশ্বব্যাপী মোট ১০২.২ মিলিয়ন ডলার পর্যন্ত আয় করে নেয়।

ছবির নামঃ Ace Ventura: Pet Detective
পরিচালকঃ Tom Shadyac
কেন্দ্রীয় চরিত্রঃ জিম ক্যারি
রিলিজঃ ১৯৯৪
রেটিংঃ  ৬.৯ 
ক্যাটাগরিঃ একশন, কমেডি
সময়ঃ ১ ঘন্টা ২৬ মিনিট

কাহিনীঃ 
এইস ভেঞ্চেরা নামে একজন গোয়েন্দা থাকে যে মায়ামি ডলফিনস ফুটবল দলের অপহরণকারী ডলফিন মাস্কট সন্ধান করার জন্য দ্বায়িত্ব পায়। তার অদ্ভুত সব কাজের ধরণ ও তার অভিনয়ের ভঙ্গি পুরো সময় ধরে আপনাকে হাসাবে। এই ছবিটি দেখে জিম ক্যারির অভিনয়ের প্রশংসা করতেই হবে সবাইকে। ছবিতে এইস ভেঞ্চেরা তার ব্যাক্তিগত সময় কাটায় তার পোষা বিড়াল, পাখি, কবুতর, কুকুর ও আরো কিছু প্রানীর সাথে। একজন মানুষ প্রানীদের সাথে থেকে থেকে কিভাবে তার ভেতরে প্রানীদের আচরণ মিশে যায়, তা খুব সুন্দর ভাবেই উপস্থাপন করেন পরিচালক। ছবিটি দেখে পরের পার্ট ( Ace Ventura: When Nature Calls ) দেখতে বসে যাবে যে কোন মানুষ এটা মোটামুটি নিশ্চিত।